প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী বলেছেন, দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান নামে স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্মগ্রহণের পর থেকে পশ্চিম পাকিস্তানীরা আমাদের পূর্ব পাকিস্তানীদের উপর শুরু করে নিপীড়ন-নির্যাতন। সে সময় থেকেই আমাদের দেশের মানুষ আস্তে আস্তে আন্দোলন-সংগ্রামের দিকে ঝুঁকে পড়ে। অনেক নেতা থাকলেও একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই এদেশের মানুষের ব্যথা ও চাহিদার কথা বুঝতে পেরেছিলেন। ফলে তিনি একটি স্বাধীন দেশের জন্যে ধীরে ধীরে আন্দোলন-সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের পরও পাকিস্তানিরা যখন বাঙালিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি, তখনই বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিকল্প নেই। আর তাই ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে তিনি স্বাধীনতার ডাক দিয়ে যান। আমরা যারা রাজনীতি করেছি, তারা বুঝতে পেরেছি, বঙ্গবন্ধু আমাদের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। ২৫ মার্চের কালো রাতের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেন। আর সেজন্যই আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। সেদিন আমরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। এখন নূতন প্রজন্মের দায়িত্ব দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ঝাঁপিয়ে পড়া।
২৬ মার্চ রোববার ফরিদগঞ্জ পৌরসভার আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি একথা বলেন। পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাখাওয়াত হোসেন মিন্টুর পরিচালনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংসদ ফরিদগঞ্জ কমান্ড-এর সভাপতি শেখ মোঃ শাহআলম, পৌরসভার প্যানেল মেয়র আঃ মান্নান পরান, সহকারী প্রকৌশলী দেলওয়ার হোসেন, ক্যাশিয়ার গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রবিউল হোসেন এবং জেলা ছাত্রলীগ নেতা শরীফ মৃধা। এর আগে উপজেলা সদরস্থ শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে পৌর কর্তৃপক্ষ।