প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুস ‘স্যার’ না বলার জন্যে অনুরোধ জানিয়ে কার্যালয়ের সামনে নোটিস লাগিয়েছেন। এ নোটিসটি তিনি গত ২০২২ সালের ২৯ আগস্ট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কার্যালয়ের সামনে লাগালেও আলোচনায় আসেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওমর ফারুককে রংপুরের জেলা প্রশাসক ‘স্যার’ বলতে বাধ্য করায় তিনি অবস্থান কর্মসূচি পালন করার পর থেকে।
জনাব এমএ কুদ্দুস শনিবার নিজ ফেসবুক পেইজে এ বিষয়ে পোস্ট করেন। এরপর থেকে বিভিন্ন কমেন্ট আসতে থাকে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে বাবার সময় থেকে আমার চলাফেরা। একটা আবেগ কাজ করে আমার মাঝে। তারা যখন আমাকে ‘স্যার’ বলেন তখন নিজে বিব্রত বোধ করি। তিনি আরো বলেন, অনেকে হয়তো চিন্তা করতে পারেন যে, আমি অনেক বড় একটা পদে আছি, আমাকে স্যার বলা খুব দরকার। কিন্তু আসলে তা নয়, আমি আসলে জনগণের সেবক হিসেবে থাকতে চাই। জনগণের ভাই, বন্ধু, কারো মামা, কারো কাকা হিসেবেই থাকতে চাই। কেউ ‘স্যার’ বললে নিজের কাছে তখন ছোট মনে হয়। কারণ এসব সাধারণ জনগণের সঙ্গে আমার বেড়ে ওঠা।
এমএ কুদ্দুস বলেন, কোনো ঘটনার কারণে আমার এই নোটিস জারি নয়। সাম্প্রতিক ওই ঘটনা ঘটার আরও অনেক আগেই আমি এই নোটিস জারি করেছি। আমি চাই জনগণের সঙ্গে আমার ভালোবাসার সম্পর্কটা সবসময় অটুট থাকুক।
এম এ কুদ্দুস তার পরিষদে নোটিস জারির মাধ্যমে স্যার না ডাকার জন্যে সাধারণ জনগণকে অনুরোধ করেন। সে নোটিস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা হয় শনিবার (২৫ মার্চ)। সেখানে তিনি লিখেন, ‘আসসালামু আলাইকুম, আমার নির্বাচনী এলাকার সকল সাধারণ জনগণকে আগেও বিনীত অনুরোধ করেছি, আমাকে ‘স্যার’ বলে সম্বোধন না করার জন্য। আমি আপনাদের ভাই, বন্ধু, আপনাদের সেবক এবং আপনাদের সেবক হয়েই থাকতে চাই।
তার এমন নোটিস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুবই প্রশংসিত হয়েছে। শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা, সাধারণ অনেক লোক কমেন্ট করে ধন্যবাদ জানান।
কয়েকটি কমেন্ট নিচে তুলে ধরা হলো : শিকদার হালিম লেখেন, ‘যে দেশে স্যার ডাক শুনতে নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীরাও ব্যতিব্যস্ত, সে দেশেই একজন সম্মানিত পদস্থ ব্যক্তির কী সুন্দর অনুরোধ! দল-মত নির্বিশেষে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রদ্ধেয় চেয়ারম্যান মহোদয়ের প্রতি অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও শুভ কামনা।’
মোঃ সারওয়ার হোসেন লেখেন, ‘একজন ভালো মনের মানুষের কথা এমনটাই হয়। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা বড় ভাই আপনাকে। আল্লাহতালা আপনাকে নেক হায়াত দান করুক। আমিন।’
মতিন দেওয়ান লেখেন, ‘একজন সম্মানিত ব্যক্তির সম্মান হলো আল্লাহর দেয়া। তবে আপনার তুলনা আপনি নিজেই। মহান আল্লাহ যেন সুস্থতার সাথে দীর্ঘায়ু দান করেন, আমিন।’