বছর পরিক্রমায় শীত এসে জায়গা দখল করেছে আপন অধিকারে। শীত একদিকে আনে উৎসবের আমেজ। আবার অন্যদিকে শীত আনে রোগব্যাধির ডালা। তাই শীত আসলে তার সাথে যুঝে নিতে অনেকের দেহকে তৈরি হতে হয়। বিশেষত আসার সময়ে এবং যাওয়ার সময়ে শীত বেশ ভুগিয়ে যায় মানুষকে। শীতে সর্দি-কাশি যেমন প্রবল, তেমনি যাদের অ্যাজমা আছে তাদের ভোগান্তিও বাড়ে বেশি। ভোগান্তি বাড়ে যারা দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসতন্ত্রের রোগে ভোগে তারা। শীতে কোল্ড ডায়রিয়ায় ভোগে শিশুরা অধিক। আবার শিশু ও বৃদ্ধরা ভোগে নিউমোনিয়ার সংক্রমণে তীব্রভাবে। শীতের বিভিন্ন রোগব্যাধির মাঝে কোল্ড অ্যালার্জি অন্যতম। কোল্ড অ্যালার্জি মানেই ঠাণ্ডার প্রকোপে ত্বকে চাক চাক হয়ে যাওয়া, ত্বকের বর্ণে পরিবর্তন আসা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াজনিত কারণে তীব্র শ্বাসকষ্ট হওয়া এবং একসময় শক বা কোমায় চলে যাওয়া। কাজেই শীতে যাদের ঠাণ্ডায় অ্যালার্জি আছে তাদের সাবধানতা অবলম্বন জরুরি।
লক্ষণ
জীবন সংশয়ের আশঙ্কাবিহীন লক্ষণগুলোর মধ্যে
* ত্বকে আঙুল দিয়ে অনুভবযোগ্য চাক হওয়া (পিঁপড়ে বাতের মতো)
* যেখানে ঠাণ্ডা অধিক লাগে সেখানে চুলকানি হওয়া
* আক্রান্তস্থানে জ্বালা অনুভব হওয়া
* ঠাণ্ডার সংস্পর্শে আসা ত্বক স্ফীতি হওয়া
* জ্বর
* মাথাব্যথা
* গিটে গিটে বেদনা হওয়া
* অবসন্নতা
* উদ্বেগ বৃদ্ধি পাওয়া
ঠাণ্ডায় অ্যালার্জিতে তীব্র অবস্থা
* অ্যানাফাইল্যাকটিক শক
* শ্বাস নিতে কষ্ট অনুভব করা
* জিভ্ ও গলাস্ফীতি দেখা দেয়া
* নিঃশ্বাসে শোঁ শোঁ আওয়াজ হওয়া
* হৃদপি-ের স্পন্দন বৃদ্ধি
* রক্তচাপ কমে যাওয়া
* অচেতন হওয়া বা ফিট হওয়া
* হুঁশ হারিয়ে ফেলা
লক্ষণসমূহ ঠাণ্ডা আক্রান্ত হওয়ার দুই থেকে পাঁচ মিনিটে দেখা দেয় এবং এক থেকে দুই ঘণ্টায় চলে যায়।
কোল্ড অ্যালার্জি কেনো হয়
* ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় বের হওয়া
* ঠাণ্ডা পানিতে সাঁতার কাটা বা গোসল করা
* খুব বেশি ঠাণ্ডায় এয়ার কন্ডিশন করা স্থানে প্রবেশ
এসব ক্ষেত্রে শরীরের প্রতিরোধকারী কৌশল হিসেবে কোষ হতে হিস্টামিন নামে রাসায়নিক পদার্থ নিঃসৃত হয়। এর কারণেই লক্ষণগুলোর তীব্রতা প্রকাশ পায়।
কারা ঝুঁকিতে
নারী-পুরুষ উভয়েই কোল্ড অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার সমান ঝুঁকিতে থাকে। তরুণ-তরুণীরাও সমানভাবে আক্রান্ত হতে পারে। পরিবারের সদস্য হতেও জীনগতভাবে এই কোল্ড অ্যালার্জি পার হতে পারে। তবে নিম্নোক্ত সংক্রমণ বা অবস্থায় কোল্ড অ্যালার্জি চেতিয়ে উঠতে পারে। যেমন :
* স্বতঃ রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার কারণে
* ভাইরাল হেপাটাইটিস
* চিকেন পঙ্
* ভাইরাসের সংক্রমণজনিত প্রদাহ
* অন্যান্য রক্তরোগের অবস্থায়
কোল্ড অ্যালার্জি নিরূপণ
* রোগের ইতিহাস
* রোগের লক্ষ্মণ
* আইস কিউব চ্যালেঞ্জ টেস্ট
* রক্ত পরীক্ষণ : রক্তে ইওসিনোফিলের পরিমাণ, ইমিউনোগ্লোবিনের মাত্রা ইত্যাদি পরিমাপ করা।
চিকিৎসা
* অ্যান্টিহিস্টামিন সেবন যেমন : রূপাটাডিন, সেটিরিজিন ইত্যাদি
* কর্টিকোস্টেরয়েড সেবনের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক তীব্রতা কমানো
* মন্টিলুকাস্ট সেবন যেমন : মন্টিন, মনটেয়ার, মনোকাস্ট, অ্যারন ইত্যাদি।
* শ্বাসনালীপ্রসারণকারী ঔষধ বা ব্রঙ্কোডাইলেটর সেবন
* প্রয়োজনে অঙ্েিজন মাস্ক ব্যবহার
* অতি প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন।
কোল্ড অ্যালার্জি প্রতিরোধের উপায়
* ঠাণ্ডাকে এড়িয়ে চলা
* উষ্ণতাবর্ধক পোশাক পরিধান করা
* শীতের দিনে হাল্কা গরম পানিতে গোসল
* অ্যালার্জির ভ্যাকসিন গ্রহণ।
ফজর | ৫:২৩ |
যোহর | ১২:১০ |
আসর | ৪:০০ |
মাগরিব | ৫:৩৯ |
এশা | ৬:৫৫ |
হেরার আলো
|
বাণী চিরন্তন
|
আল-হাদিস
|
৮১-সূরা তাকভীর ২৯ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। ২১। যাহাকে সেথায় মান্য করা হয়, যে বিশ্বাস ভাজন। ২২। আর তোমাদের সাথী উন্মাদ নহে, ২৩। সে তো তাহাকে স্পষ্ট দিগন্তে দেখিয়াছে, ২৪। সে অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে কৃপণ নহে।
ঘুম পরিশ্রমী মানুষকে সৌন্দর্য প্রদান করে। -টমাস ডেককার।
ধর্মের পর জ্ঞানের প্রধান অংশ হচ্ছে মানবপ্রেম-আর পাপী পুণ্যবান নির্বিশেষে মানুষের মঙ্গল সাধন।
|
করোনা পরিস্থিতি | ||
বাংলাদেশ | বিশ্ব | |
আক্রান্ত | ৫,১২,৪৯৬ | ৮,২৪,৩৫,৪৮২ |
সুস্থ | ৪,৫৬,০৭০ | ৫,৮৪,৪৩,৫১৫ |
মৃত্যু | ৭,৫৩১ | ১৭,৯৯,২৯৪ |
দেশ | ২১৩ | |
সূত্র: আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। |
হ্যাঁ | না | মতামত নেই |