ফজর | ৫:০৭ |
যোহর | ১১:৫০ |
আসর | ৩:৩৬ |
মাগরিব | ৫:১৫ |
এশা | ৬:৩২ |
সৌজন্যে- হোটেল অস্টার ইকো
কলাতলী, কক্সবাজার
মুঠোফোন : ০১৭৭৭৬৩১৬৯১, ১৮১২৫১৬৫৯০
হেরার আলো
|
বাণী চিরন্তন
|
আল-হাদিস
|
৫৮-সূরা মুজাদালা ২২ আয়াত, ৩ রুকু, মাদানী পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। ২০। যাহারা আল্লাহ ও তাঁহার রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে, তাহারা হইবে চরম লাঞ্ছিতদের অন্তর্ভুক্ত। ২১। আল্লাহ সিদ্ধান্ত করিয়াছেন, আমি অবশ্যই বিজয়ী হইব এবং আমার রাসূলগণও। নিশ্চয় আল্লাহ শক্তিমান, পরাক্রমশালী।
assets/data_files/web
অসহায় দরিদ্রের যে অনুগ্রহ করে ভবিষ্যতে সে-ই নেতা হতে পারবে। -উইল রোজার।
যে ভিক্ষাবৃত্তির দ্বার খুলিয়াছে, আল্লাহতায়ালা তাহার জন্য দরিদ্রতার দ্বার খুলিবেন।
|
চাঁদপুর জেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জেলা গাউছিয়া কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি এবং ঐতিহাসিক বেগম জামে মসজিদের দীর্ঘ ২৬ বছরের (১৯৬৪-১৯৯০) ইমাম ও খতিব হযরতুল আল্লামা মাওঃ রুহুল্লাহ (রঃ)-এর ২২তম ওফাত দিবস আজ ৮ নভেম্বর। ১৯৯৭ সালের এদিনে তিনি ঢাকা শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬৫ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। ইন্তেকালের আগ পর্যন্ত তিনি চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার ওছমানিয়া ফাযিল মাদ্রাসার আরবি বিভাগে অধ্যাপনার দায়িত্বে ছিলেন।
চাঁদপুরের সর্বজনশ্রদ্ধেয় এই প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন জীবদ্দশায় সুন্নাতে নববীর উপর নিজের গোটা জীবনকে পরিচালিত করে গেছেন। তাঁর ইলমের প্রাজ্ঞতা এবং আমলের পরিপূর্ণতার কারণে অন্য ধর্মের মানুষও তাঁর প্রতি ছিলেন শ্রদ্ধাশীল। এমনকি ইসলামের অন্য ভ্রান্ত মতাবলম্বীরাও তাঁর জ্ঞান এবং ব্যক্তিত্বের প্রশংসা করতো। চাঁদপুর শহরে তাঁকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বীজ বপনকারী বলা হয়।
তাঁর চার ছেলের মধ্যে বড় ছেলে আবু জাফর মোঃ হাবিবুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিভাগে অনার্স, মাস্টার্স ডিগ্রি কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক হিসেবে প্রথম চাকুরি জীবন শুরু করেন এবং সর্বশেষ কৃষি ব্যাংকের এজিএম হিসেবে চাকুরি থেকে অবসর নেন। মেজো ছেলে অধ্যক্ষ আনম মহিবুল্লাহ ফরিদগঞ্জ চান্দ্রা ছামাদিয়া ফাযিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে আছেন, ৩য় ছেলে আবুল হাসানাত হোমিও চিকিৎসক এবং ছোট ছেলে এএইচএম আহসান উল্লাহ ঢাকা মোহাম্মদপুর কামিল মাদ্রাসা থেকে কামিলে হাদিস বিভাগ নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে প্রথমে সদর উপজেলার রামপুর আলিম মাদ্রাসার আরবি বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর স্বেচ্ছায় সে চাকুরি ছেড়ে দিয়ে সাংবাদিকতা পেশায় আসেন এবং পাশাপাশি ম্যারিজ রেজিস্ট্রার (কাজী) হিসেবে সরকার থেকে নিয়োগ পান। তিনি বর্তমানে চাঁদপুর কণ্ঠের বার্তা সম্পাদক ও চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁর মেয়ের জামাতারাও একেকজন বিজ্ঞ আলেম, পীর সাহেব, ব্যবসায়ী এবং চাকুরিজীবী।
তাঁর এই ওফাত দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর শহরে পারিবারিকভাবে দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে এবং প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসে গ্রামের বাড়িতে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
হ্যাঁ | না | মতামত নেই |