ফজর | ৫:০৯ |
যোহর | ১১:৫২ |
আসর | ৩:৩৭ |
মাগরিব | ৫:১৬ |
এশা | ৬:৩৪ |
সৌজন্যে- হোটেল অস্টার ইকো
কলাতলী, কক্সবাজার
মুঠোফোন : ০১৭৭৭৬৩১৬৯১, ১৮১২৫১৬৫৯০
হেরার আলো
|
বাণী চিরন্তন
|
আল-হাদিস
|
৫৯-সূরা হাশ্র ২৪ আয়াত, ৩ রুকু, মাদানী পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
৫। তোমরা যে খর্জুর বৃক্ষগুলি কর্তন করিয়াছ এবং যেগুলি কা-ের উপর স্থির রাখিয়া দিয়াছ, তাহা তো আল্লাহরই অনুমতিক্রমে; এবং এইজন্য যে, আল্লাহ পাপাচারীদিগকে লাঞ্ছিত করিবেন।
assets/data_files/web
আকৃতি ভিন্ন ধরনের হলেও গৃহ গৃহই। -এন্ড্রি উল্যাং।
স্বদেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ।
|
রমজান আসলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানের মাঝে আনন্দের হিল্লোল বয়ে যায়। বিশ্ব মুসলিম মননে পবিত্রতার সি্নগ্ধ হাওয়া যেনো প্রবাহিত হয়। সিয়াম পালনের উদ্দীপনায় উদ্দীপ্ত হয় দ্বীনদার মুমিন-মুত্তাকী। রমজানের প্রতিটি দিন ইবাদতের মধ্য দিয়ে কাটিয়ে দেয়ার আবহ সৃষ্টি হয়।
রমজানের চাঁদ ওঠার সাথে সাথেই মুমিন-মুসলমানদের মাঝে ভিন্নতর এক আবহ সৃষ্টি হয়। অন্তত পুরো এক মাস সব কিছু রুটিন মাফিক চলবে। এতে করে পুরো পরিবেশ যেনো বদলে যায়। প্রথম তারাবীহ জামাতে আদায় করতে হবে। তাই ধর্মপ্রাণ মুসলি্লরা প্রস্তুতি নিতে থাকে মসজিদে যেতে। জামাতের সাথে এশার নামাজ আদায়, এর পরপরই জামাতে তারাবীহর নামাজ আদায়। কেউ খতম তারাবীহ আবার কেউ ছোট ছোট সূরা দিয়ে তারাবীহ পড়ে থাকেন। এরপর আবার শেষ রাতে উঠে সেহরী খাওয়া। এরপর ফজর নামাজ আদায় করা। অনেকে ভোর রাত উঠে কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করে থাকেন এবং তাহাজ্জুদ নামাজও পড়েন। ফজর নামাজ পড়ে পবিত্র অবস্থায়ই নিদ্রা যান। এরপর দিনের শুরুতে জীবিকা নির্বাহের কাজে নেমে পড়েন। কেউ চাকুরি, কেউ ব্যবসা আর কেউ দিনমজুরি করেন। এসব কাজও যদি আমরা সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও নিষ্ঠার সাথে করি তাহলে এগুলোও ইবাদত। দুপুরে সময়মতো জোহর নামাজ আদায় করা, বিকেলে আছর নামাজ আদায় করা। আছর নামাজের পর অনেকে কোরআন তেলাওয়াত করেন আবার অনেকে ইফতারির প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকেন। বাসা-বাড়িতে ধর্মপ্রাণ নারীরাও অনুরূপভাবে ইবাদত-বন্দেগী ও সাংসারিক কাজে ব্যস্ত থাকেন। ইফতারের পরপরই মাগরিবের নামাজ আদায় করা। এরপর খানিকক্ষণ বিরতি দিয়ে আবার এশা ও তারাবীহর নামাজের প্রস্তুতি নিতে হয়। এমনিভাবে রমজানের প্রতিটি মুহূর্ত মুমিন-মুসলমানগণ ইবাদতের মধ্যে নিয়োজিত থাকেন। মসজিদগুলোতে মুসলি্লদের ঢল নামে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা কোরআন শিক্ষার আসরে নিয়োজিত থাকে। বাসা-বাড়িতে কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করা হয়। এর বাইরে দান-সদকা, জাকাত-ফিতরা আদায় তো আছেই। এসব কিছুর প্রভাবে মুমিনের মন বিগলিত হয়ে যায়। আর প্রকৃত রোজাদার ব্যক্তি কখনো কারো সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয় না। কেউ যদি তার সাথে ঝগড়া করতে উদ্যত হয় তখন সে বলবে, আমি রোজাদার। প্রকৃত রোজাদার ব্যক্তি কাউকে কষ্ট দেয় না, কাউকে ঠকায় না, প্রতারণা করে না, মিথ্যা শপথ করে না। সব কিছু মিলে পুরো রমজান মাস যেনো একটি প্রশিক্ষণের মাস। মু'মিন ব্যক্তির পুণ্যময় জীবন গড়ার এটি একটি সর্বোত্তম পন্থা।
হ্যাঁ | না | মতামত নেই |