একুশের সকালে ব্যতিক্রম একটি কাজ করলেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল জলিল। তিনি আকস্মিকভাবে স্থানীয় দু ভাষা সৈনিকের বাড়িতে হাজির হলেন। সাথে নিয়ে গেলেন ফুল, ফল ও মিষ্টি। উক্ত দু ভাষা সৈনিক হলেন মোশারফ হোসেন আখুঞ্জি ও আবুল হোসেন। জেলা প্রশাসক এঁদের কুশলাদি জানতে চান এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। জেলা প্রশাসকের এমন সাক্ষাতে দু ভাষা সৈনিক আবেগাপ্লুত হন।
শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, প্রভাতফেরি, বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতা আয়োজন, মসজিদে সুবিধাজনক সময়ে দোয়া ও মোনাজাত, মন্দির-গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নিশ্চয়ই আরো অনেক কর্মসূচি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপনে রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়। সেটার সংবাদ স্থানীয় গণমাধ্যমে হয়তো প্রকাশিত হয়েছে, কিন্তু জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে জেলা প্রশাসকের দু ভাষা সৈনিকের বাড়িতে যাওয়ার বিষয়টি। কেননা শেষোক্তটির সংবাদমূল্য পূর্বোক্তটির চেয়ে অনেক বেশি।
এ দিবসটিসহ অন্যান্য জাতীয় দিবস উদ্যাপনে জেলা প্রশাসক কিংবা উপজেলা প্রশাসন সহ অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থা নিতান্তই গতানুগতিক কর্মসূচি পালন করে থাকে। এ গতানুগতিকতার আবশ্যকীয়তা অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু এর পাশাপাশি উদ্ভাবনী চিন্তা-চেতনায় ব্যতিক্রম ও বিশেষ কিছু করার উদ্যোগ বা কর্মসূচিও থাকতে হয়। আমরা জাতীয় অন্যান্য দিবসের চেয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান শহীদ দিবস উপলক্ষে চাঁদপুরে চাই তেমন কিছু কর্মসূচি, যার সংবাদমূল্য গতানুগতিক কর্মসূচির চেয়ে বেশি।
চাঁদপুরে রাজশাহীসহ অন্যান্য স্থানের মতো উল্লেখযোগ্য ভাষা সৈনিকরা বেঁচে নেই। তাদের স্ত্রী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজনরা বেঁচে আছে। প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারিতে এদের সাথে জেলা/উপজেলা প্রশাসন সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারে। সাথে সাথে মরহুম ভাষা সৈনিকদের স্মরণ করার মতো দৃশ্যমান পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে পারে। যেমন : তাঁদের নামে সড়কসহ অন্য কোনো স্থাপনার নামকরণ, বাড়ি বা সমাধিস্থলের নিকটে চোখে পড়ার মতো স্থানে ভাষা আন্দোলনে সুনির্দিষ্ট অবদান উল্লেখপূর্বক সচিত্র বিলবোর্ড সাঁটানো ইত্যাদি। আমরা চাই গতানুগতিকতার পাশাপাশি বিশেষ সংবাদমূল্য আছে এমন কিছু ব্যতিক্রম কর্মসূচি বা পদক্ষেপ, যাতে উদ্যোক্তাই শুধু আলোকিত হয় না, এলাকাও আলোকিত হয়।
ফজর | ৫:০৩ |
যোহর | ১২:১১ |
আসর | ৪:২৫ |
মাগরিব | ৬:০৬ |
এশা | ৭:১৮ |
হেরার আলো
|
বাণী চিরন্তন
|
আল-হাদিস
|
৯৬-সূরা 'আলাক ১৯ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। ১৫। সাবধান, সে যদি বিরত না হয় তবে আমি তাহাকে অবশ্যই হেঁচড়াইয়া লইয়া যাইব, মস্তকের সম্মুখভাগের কেশগুচ্ছ ধরিয়া- ১৬। মিথ্যাচারী, পাপিষ্ঠের কেশগুচ্ছ। ১৭। অতএব সে তাহার পার্শ্বচরদিগকে আহ্বান করুক।
মূর্খতা এমন এক পাপ, সারাজীবনে যার প্রায়শ্চিত্ত হয় না। -আল-ফখরি।
কাউকে অভিশাপ দেওয়া সত্যপরায়ণ ব্যক্তির উচিত নয়।
|
করোনা পরিস্থিতি | ||
বাংলাদেশ | বিশ্ব | |
আক্রান্ত | ৫,৩৮,০৬২ | ১০,৬৪,২৭,১০৩ |
সুস্থ | ৪,৮৩,৩৭২ | ৭,৮০,৮৪,৯০৯ |
মৃত্যু | ৮,২০৫ | ২৩,২২,০৫৩ |
দেশ | ২১৩ | |
সূত্র: আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। |
হ্যাঁ | না | মতামত নেই |